মানুষ ক্রমাগত নানান কথা বলে যায় তবে সব মানুষ ক্রমাগত লিখে যেতে পারে না, বেশ বুঝা যায় কথা বলা ও লেখার মধ্যে অনেক পার্থক্য বিদ্যামান। ক্রমাগত নানান কথা বলা বিষয়টি সহজ, ক্রমাগত লিখে যাওয়টা অনেক পরিশ্রমের ও ত্যাগের। তবে প্রায় নিত্য দিনের লেখাগুলি আমার কাছে কি প্ররিশ্রমের কিম্বা ত্যাগের ! একজন ছোট মানুষের কাছে প্ররিশ্রমের বা ত্যাগের কি বা মূল্য থাকে ! মূল্য থাকত যদি লেখাগুলি অর্থ পূর্ণ হত, পাঠকের প্রিয় হত, লেখাগুলি পাঠক টানত !
প্রায় নিত্য দিন যে লেখাগুলি লিখে থাকি তা মনের ভাব প্রকাশ, মনের কোনে জমে থাকা কিছু কথা, কিছু অভিজ্ঞতার কথা বলা। লেখাগুলি তেমন কোন গুরুত্ব বহন করে না তবুও লিখে যাই বা লিখে যাওয়ার চেষ্ট করি - এর পিছনে যা কাজ করে তা হলো লেখার যে স্ব-ক্ষমতা যতটুকু অর্জনে আছে তা যেন হারিয়ে না যায় বা অন্য কোন বস্ত্যতা লেখার ধারাটিকে হরণ না করে।
লেখার অভ্যাসটি কি হারিয়ে গেল ! না কি সামনের দিনগুলিতে নিত্য দিন লেখা থামিয়ে দিব কিনা ! এ সব জানার জন্য লেখা, আর লেখা প্রকাশ তো আজকাল সবচেয়ে সহজ বিষয়, নিয়মিত লিখলে, অন্য লেখকের লেখা পড়লে পাঠকও পাওয়া যায় তাই লেখার অভ্যাসটি চালিয়ে যাওয়া।
কোন সুনিদৃষ্ট লেখার ধরণ বা একটি প্যাটার্ন প্রতিষ্টা না করা গেলে নিয়মিত লেখা হয় না, আমরা চাইলে নিজের মত করে একটি সুনিদৃষ্ট লেখার ধরণ বা একটি প্যাটার্ন প্রতিষ্টা করাটা বেশ দৃঢ় কাজ, যা অনেকের বেলায় প্রতিষ্টা করাটা সম্ভব হয় না। লেখার ধরণ, গল্পের ধরণ, কবিতার ধরণ প্রতিষ্টা করা গেলে লেখা আর থেমে থাকার কথা নয়।
লেখার অর্থ থাক বা না থাক, প্রায় নিত্য দিন যে লেখাগুলি লিখে থাকি তা আমার কাছে প্ররিশ্রমের বা ত্যাগের তবে তা মনের আনান্দে লেখা, মনকে প্রফুল্ল রাখার জন্য লেখা ,মনকে সুস্থ্য রাখার জন্য লেখা। আমি যা লিখে গেলাম তা একটি দলিল সেই সাথে একটি দিনের সার্থকতা দেওয়া।