পেছনের কথা

 

মানুষের ব্যক্তিগত জীবন অনেক উত্থান পতনের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ঐ সকল উত্থান পতনের মাঝে মানুষ শিখতে পারে অনেক কিছু। অনেক কিছু সে পায়, আবার অনেকে কিছু হারায়। যেমন সাগরে ঢেউ আসলে ঢেউয়ের সাথে আসে অনেক কিছু, আবার সে নিয়েও যায় অনেক কিছু।

প্রতিটা মানুষের জীবন সাগরের তিরে এমন একটা ঢেউ অবশ্যই এসেছে। হয়তোবা কোন রমনীর কারনে, নয়তো অন্য কোন কারণে। সেই ঢেউয়ে রেখে যাওয়া আর নিয়ে যাওয়া জিনিসগুলো নিয়ে লেখা আমার এ কাব্যগ্রন্থ।

মানুষ এক জীবনে অনেক কিছু উপলব্ধি করে। কখনো নারী নিয়ে, কখনো বই নিয়ে, কখনো প্রকৃতি নিয়ে, নানান কিছু নিয়ে। মানুষ তার উপলব্ধির কথা জানাতে চাইলেও অনেক সময় জানানো হয়ে ওঠে না। আমি তাদের উপলব্ধি ও আমার উপলব্ধি মিলিয়ে কিছু কবিতা লিখেছি। এর মাধ্যমে আমি ঐ সকল উপলব্ধি সবার সামনে তুলে ধরতে চাই।

কোন গল্প, তা হোক ছোট বা বড়। গল্পের মাঝে নারী থাকবেই। কিন্তু সব নারী কি এক হয়। নারীর জন্য অনেকে আজ অনেক কিছু হয়েছে। কেউ কিছু পেয়েছে, কেউ হারিয়েছে। প্রিয় নারীর জন্য অনেকে অনেক কিছু করতে পারে। যদি আমি দশ জনকে প্রশ্ন করি, তোমার নারীর জন্য তুমি মরতে পারবে? সবাই বলবে, হ্যা। নারীর জন্য সবাই মরতে পারে, আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে নারীর জন্য ক’জন বাঁচতে পারে।

আমার মাঝে তোমার আকাঙ্ক্ষা, তোমার মাঝে আমার। জানা, অজানা কথা। বোঝা না বোঝার কথা। তোমায় নিয়ে আমার ভাবনা। তোমাকে না বলা কথা। আমার কথা, তোমার কথা, আমার তোমার দুঃখ সুখের কথা। ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লেখা আমার এ গ্রন্থ।

নানান ভাবনা, নানান প্রশ্ন, নানান উত্তর, নানান মতবাদ ও জীবন নিয়ে তোমার প্রতি, ভালবাসার প্রতি, সকলের প্রতি লেখা এর সকল কবিতা।

অজ্ঞতা, অক্ষমতা আর অনিচ্ছা সত্ত্বেও কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীদের উৎসাহ, অনুরোধে (কারো কারো অবজ্ঞা, অবহেলায়) প্রকাশ সম্ভব হয়েছে আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অভিমানী সেই মেয়ে’। ভুলক্রটি থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। তবে আপনাদের (পাঠকদের) সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আরও ভাল কিছু উপহার দেবার। সবশেষে সবার জন্য সমালোচনার দ্বার উন্মুুক্ত রেখে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ইতি টানছি।